শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ::
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটিকুমরুল গোলচত্তরে পরিবহন সেক্টরে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামেই হচ্ছে এ বেপরোয়া চাঁদাবাজি। এছাড়া সড়ক, মহাসড়ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল ও বাস স্ট্যান্ডে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে প্রকাশ্যেই।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্তরে চার রোডে চেইন মাষ্টার (চুংগি) পরিচয়ে চাঁদাবাজী চালাছে একটি সংগঠিত চক্র। ঢাকা-বগুরা রোড ও ঢাকা বাসষ্ট্যান্ডে রমরমা চাঁদাবাজী চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাটিকুমরুল গোলচত্তর এলাকায় ঢাকা বগুড়া রোডে স্বপন/ফিরোজ আশরাফ ও এরশাদ এর নেতৃত্বে, হাফিজ, আশরাফ, দুলু, মওলা, জেলহক, সালাম রাজ্জাক, মানিক, মজনু, আশরাফ, কালাম, সানু ও ঢাকা টু কড্ডা-রোডে আলাউদ্দিন এবং আলমগীরের নেতৃত্বে সোহেল, সরোয়ার, বদি মফেত ও পাবনা রোডে মজনু গং রাজশাহী রোড়ে, জহুরুল, পিন্টু, মোহাম্মাদ, গং ঢাকা রোডে, মজিদ, হামিদ গংদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন এই চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো এই চাঁদাবাজীর একজন গটফাদারের নাম। তিনি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহাব শেখ(ওয়াহাব চেইন মাষ্টার)
এ বিষয়ে চেইন মাষ্টারদের গটফাদার আব্দুল ওয়াহাব শেখ(ওয়াহাব চেইন মাষ্টার) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্তরের চার রোডের সকল চেইন মাষ্টাররা আমার লোক, এরা আমার ছেলে পুলে, এরা কোন চাঁদাবাজী করেনা, আপনাদের সমস্যা কি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসের একাধিক ড্রাইভার সুপার ভাইজারদের কাছে বিষয়টা জানতে চাইলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, চেনের টাকা না দিলে গাড়ী চালানো বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি ধামকি দেয় চেইন মাষ্টার নামক চাঁদাবাজরা। হাটিকুমরুল গোলচত্তর এলাকায় চার পাশের বাস ষ্ট্যান্ডে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ওঠানামা করেন। যার শতকরা ৯৯% মানুষই এলাকার বাইরের মানুষ হওয়ায় কোন লিখিত অভিযোগ কেউ করে না। তাই স্থানীয় এসব চাঁদাবাজরা তাদের দাপট দেখিয়ে এ চাঁদাবাজি করছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী। এ চাঁদাবাজী বন্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মিনি বাস ও কোচ মালীক সমিতির সভাপতি-মোঃ জিন্নাহ আল মাজীর কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটিকুমরুল গোলচত্তরের এসব চাঁদাবাজদের সাথে জরিতনা, আমাদের সমিতির কেউ চাঁদাবাজীর সাথে জরিত নয়, তিনি আরও বলেন। এসব চাঁদাবাজদের কাছে আমরা জিম্মি।এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নিতে আমি হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ও সলঙ্গা থানার ওসি কে বার বার বললেও তারা এ সব চাঁদাবাজী বন্ধে রহস্য জনক কারনে কোন উদ্বোগ গ্রহন করেনি।
এ বিষয়ে চাঁদাবাজ চক্রের নেতা ফিরোজ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন-গত চল্লিশ বছরে কোন সাংবাদিক এগুলো নিয়ে কথা বলেনি,এর সাথে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসিও জরিত আছে, তাকে গিয়ে জিগান। তিনি আরও বলেন, আমরা এ কাজ পেতে একেক জন দের থেকে দুই লাক্ষ টাকা দিয়েছি।এ কাজের সাথে জারা জরিত তাদের কে আপনারা কিছুই করতে পারবে না।আমরা যা করি তা সবার সামনেই করি,পুলিশ,র্যাব,সবার সামনেই আমরা এগুলো করি,আপনারা লিখেন গা, যা পারেন করেন গা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সলঙ্গা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাইজুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন-এটা হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার বিষয় এটা তারা দেখবে।
হাটিকুমরুল গোলচত্তরে পরিবহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজীর বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানির কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমাকে জরিয়ে ফিরোজ যা বলেছে সেটা মিথ্যা আমি ওকে চিনি না, ওরা ১০/২০ টাকা করে উঠায় বলে আমি জানি এটা শ্রমীকদের ব্যাপার-কেউ অভিযোগ দিলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব। সচেতন মহল মনে করছে-এখানে সবাই বাইরের মানুষ হওয়ায় কেহই অভিযোগ করে না, প্রশাসন কত কিছু দেখে,অথচ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী চলছে সেটা যদি তাদের অভিযোগ করতে হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই চাঁদাবাজী করছে।